রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:১৯ অপরাহ্ন
স্পোর্টস রিপোর্টার, ই-কণ্ঠ টোয়েন্টিফোর ডটকম ॥ ক্লাবটির নজর এখন দ্বিতীয় বিভাগ লীগের দল গঠনে। গত ৬ জুন টেলেন্ট হান্ট কার্যক্রম শুরু হয়। মেধাবী ফুটবলারদের নিয়ে প্রথম ধাপ শেষে তাদের দ্বিতীয় বাছাই শেষ করেছে। কমলাপুর স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ধাপে সারাদেশ থেকে মোট ২২১ কিশোর ফুটবলার এতে অংশ নেয়। সেখান থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ৫০ জনকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করে ক্লাব।
প্রথম ধাপে নির্বাচিত হয়েছিলেন ৩৭ জন। দুই ধাপ মিলে মোট খেলোয়াড় সংখ্যা দাঁড়াল ৮৭ জনে। এখন চূড়ান্ত বাছাই হবে। চূড়ান্ত বাছাইয়ে ৩০-৩৫ খেলোয়াড়কে রেখে দেয়ার কথা জানিয়েছেন সাইফ স্পোর্টিং জুনিয়র দলের প্রধান কোচ সাইফুর রহমান মণি।
দেশের ফুটবলে পাইপলাইন শক্তিশালী করার লক্ষ্যে তৃণমূল খেলোয়াড় নিয়ে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কাজ করছে দেশের জনপ্রিয় সাইফ স্পোর্টিং। জাতীয় দলের সাবেক তারকা ফুটবলার মণির তত্ত্বাবধানে পরিচালিত ট্রেনিং কার্যক্রমে সহকারী হিসেবে আছেন সাইফ স্পোর্টিং সিনিয়র দলের ম্যানেজার শাহেদ এবং গোলরক্ষক কোচ পান্নু। গতকাল বিভিন্ন পর্যায়ে ট্রেনিং সেশনে অংশ নেয় খেলোয়াড়রা।
কিছু খেলোয়াড় থাকবে অনুর্ধ-১৮ জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ খেলার জন্য। তাই যারা চূড়ান্ত দলে ঠাঁই পাবে না তাদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। মেধাবী হলে সুযোগ থাকছে সাইফের অন্য দলে যুক্ত হওয়ার। এমনটাই জানান কোচ মণি। ফুটবলাররা এসেছিলেন এদের চেয়ে প্রথম ধাপে যারা অংশ নিয়েছেন তারা তুলনামূলক একটু বেশি মেধাবী। আমাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সব কিছু সামনে বসে দেখেছেন। আমরা তার পরামর্শ মেনে কাজ করছি।
ফুটবলাররা দুদলে ভাগ হয়ে মাঠের লড়াইয়ে নামে। পর্যবেক্ষণ করা হয় তাদের ম্যাচ ফিটনেস, উইথবলে টেকনিক ও ট্যাকটিস। মাঠে উপস্থিত থেকে টেলেন্ট হান্ট কার্যক্রম স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করেন এবং নানা বিষয়ে পরামর্শ দেন ক্লাবটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মারুফ হাসান। ঈদের পর ঢাকা মহানগরী দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবল লীগ মাঠে গড়ানোর কথা। তার আগেই দল গোছানো কাজটা ঠিকঠাক সেরে নিচ্ছে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। দুই ধাপে যারা প্রাথমিক পর্যায়ে নির্বাচিত হয়েছেন অর্থাৎ ৮৭ জনকে নিয়ে চূড়ান্ত কার্যক্রম শুরু হবে।
সেখান থেকে বেছে নেয়া হবে দল। দ্বিতীয় বিভাগের দলে মোট ৩০ খেলোয়াড়কে নিবন্ধন করানো যাবে। সাইফের একাডেমিতে ইতোমধ্যে ১৫-১৬ জন খেলোয়াড় রয়েছে। তাদের সঙ্গে ৩০-৩৫ জন যোগ হবে। নিবন্ধনের কোটা পূরণ হওয়ার পরও যদি মেধাবী খেলোয়াড় থেকে যায় তাদের সাইফ একাডেমিতে যুক্ত করা হবে।